সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ষটতিলা' একাদশীর মাহাত্ম্য

মাঘ মাসের কৃষ্ণপক্ষের `ষটতিলা' একাদশীর মাহাত্ম্য ভবিষ্যোত্তর পুরাণে বর্ণিত আছে।যুধিষ্ঠির মহারাজ বললেন, হে জগন্নাথ! মাঘ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীর নাম কি, বিধিই বা কি, ফল কি সবিস্তারে আমাকে বলুন। ভগবান বললেন, এই তিথি ষটতিলা নামে জগতে প্রসিদ্ধ।একসময় দাল্ভ্য ঋষি মুনিশ্রেষ্ঠ পুলস্তকে জিজ্ঞাসা করেন, মর্ত্যলোকে মানুষেরা ব্রহ্মহত্যা, গোহত্যা, অন্যের সম্পদ হরণ আদি পাপকর্মের দ্বারা নরকে গমন করে। যাতে তারা নরকগতি থেকে রক্ষা পায়, তা যথাযথভাবে আমাকে উপদেশ করুন। অনায়াসে সাধন করা যায় এমন কোনো কাজের মাধ্যমে যদি তাদের এই পাপ থেকে উদ্ধারের কোনো উপায় থাকে, তবে তা বলুন। ঋষি পুলস্ত বললেন, হে মহাভাগ! তুমি একটি গোপনীয় উত্তম বিষয়ে প্রশ্ন করেছ। মাঘ মাসে শুচি, জিতেন্দ্রিয়, কাম, ক্রোধ আদি শূন্য হয়ে স্নানের পর সর্বদেবেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের পূজা করবে। পূজাতে কোন বিঘ্ন ঘটলে কৃষ্ণনাম স্মরণ করবে। রাত্রিতে অর্চনান্তে হোম করবে। তারপর চন্দন, অগুরু, কর্পূর ও শর্করা প্রভৃতি নৈবেদ্য প্রস্তুত করে ভগবানকে নিবেদন করবে। কুষ্মাণ্ড,নারকেল অথবা একশত গুবাক দিয়ে অর্ঘ্য প্রদান করবে `কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃপালুস্ত্বমগতীনাং গতির্ভব' ইত...

স্মৃতিচারণ-শ্রীল জয়পতাকা স্বামী গুরুমহারাজের সাথে

লীলাকাহিনীর পুনঃকথন- গতসপ্তাহে শুক্রবারের স্মৃতিচারণ, শ্রীল প্রভুপাদের শিষ্যা শ্রীমতি রচিতাম্বরা দেবী দাসী কর্তৃক কথিত হয়েছিল। এখানে সেই একই লীলা তাঁর কন্যা শ্রীমতি জয় রাধিকা দেবী দাসী কর্তৃক পুনঃকথিত হয়েছে, যিনি হলেন গুরুমহারাজের শিষ্যা। আমি গুরুমহারাজের প্রতাপশালী লীলাকাহিনীগুলো পছন্দ করি। সেগুলো অনন্য, সিগ্ধ শীতলতাপূর্ণ এবং বেশ মজাদার এবং এককথায় চমৎকার। সেগুলো সর্বদা আমাকে মনে করিয়ে দেয় যখন তিনি, আমার পিতার নির্মানকৃত ধনুকে জ্যাঁ বেঁধেছিলেন এবং তীর ছুড়েছিলেন। এটা অনেকটা অর্জুনকে দেখার মত মনে হয়েছিল। জয় গুরুমহারাজ কি জয়!! আমি শঙ্কিত যে, সেসময়ের কোন ছবি নেই...এটা অনেক বছর পূর্বে মায়াপুরের প্রথম দিকের কাহিনী। আমাদের তখন কোন ক্যামেরা ছিল না। আমার পিতা অর্জুনের মত একটা ধনুক নির্মান করতে চেয়েছিলেন। এটা একটা সুন্দর নির্মান ছিল। যেখানে ফুল, পাতা, আঙ্গুর লতা ইত্যাদি দ্বারা সজ্জিত ছিল। কিন্তু তিনি এতই সুন্দর কাজ করেছিলেন যে, এটা খুবই মজবুত ছিল। তিনি ধনুকটি বাঁকাতেই পারছিলেন না আর জ্যাঁ বাঁধার কি কথা! আমার পিতা খুবই শক্তসমর্থ ব্যক্তি ছিলেন কিন্তু তারপরও তাঁর দ্বারা ধনুকটি বাঁকানো সম্...

নমস্কার কি সকলকে জানানো যায়?

নমস্কার কি? নমস্কার বা নমস্তুতে বা সংক্ষেপে নমস্তে হচ্ছে বৈদিকযুগ হতে প্রচলিত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কর্তৃক ব্যবহৃত অভিবাদন সূচক শব্দ। সাধারণত দুই হাত জোড় করে 'নমস্কার' শব্দটি উচ্চারণ করা হয়ে থাকে বলে একে অঞ্জলি মুদ্রা বা প্রণামও বলা হয়। 'নমস্কার' শব্দটি এসেছে মূল সংস্কৃত শব্দ 'নমঃ' থেকে যার আভিধানিক অর্থ সম্মানজ্ঞাপন পূর্বক ভগবান রূপী আত্মার নিকট অবনত হওয়া। হিন্দু ধর্মীয় রীতি অনুসারে ভগবান প্রত্যেক জীবের মাঝেই আত্মারূপে বিরাজ করেন। তাই, নমস্কার জ্ঞাপনের মাধ্যমে মানুষের ভিতরের পরআত্মারূপী স্রষ্টার নিকট অবনত হওয়াকেই বুঝায়।।  নমস্কার কি সকলকে জানানো যায়?  সনাতন ধর্ম বিরোধী নানা কুপ্রচারণার অংশ হিসেবে একশ্রেণীর কুচক্রী মহল প্রচার করে চলেছে যে যেহেতু, নমস্কার শব্দটি অবনত হওয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট তাই সাধারণ জনগণকে নমস্কার জানানো উচিত নয়। দেখা যাক,এ সম্পর্কে বৈদিক শাস্ত্র কি বলে !  "যো দেবো অগ্নৌ যো অপসু যো বিশ্বং ভূবনাবিবেশ  য ওষধীষু যো বনস্পতি তস্মৈ দেবায় নমো নমঃ॥"               ...