সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শিখা রাখার গুরুত্ব।

★বৈদিক সংস্কৃতিতে দশবিধ সংস্কারের কথা উল্লেখ রয়েছে। তার মধ্যে সপ্তম সংস্কার হচ্ছে চূড়াকরণ। চূড়াকরণসংস্কারে মাথায় শিখা রাখতে হয়।কেননা চূড়াকরণ বা শিখা রাখার পরেই উপনয়ণ বা দীক্ষা লাভ করা হয়। শিখা রেখে গুরুদেব তাঁর শিষ্যকে সংস্কারের পাত্র করে তোলেন।এখন শিখা ধারণের আবশ্যকতা নিয়ে আলোচনা করব। সদোপবীতিনা ভাব্যং সদা বদ্ধ শিখেন চ। বিশিখো বি উপবিতশ্চ যৎ করোতি ন তৎ কৃতম্।।(কাত্যায়ন স্মৃতি ১/৪)। অনুবাদ- সবসময় উপবীতি (উপবীতি অর্থ পৈতা ধারণ অথবা বাম কাঁধে পৈতার মতো উত্তরীয় বস্ত্র ধারণ), ও শিখা বন্ধন করে থাকবে।কারণ শিখা বিহীন কোন ধর্ম কাজ সফল হয় না। ঋষি ব্যাসদেব বলছেন- বিনা যৎ শিখয়া কর্ম বিনা যজ্ঞোপবীতম্। রাক্ষসং তদ্ধি বিজ্ঞেয়ং সমস্তা নিষ্ফলা ক্রিয়াঃ।। অনুবাদ- সবসময় উপবীত (অথবা উত্তরীয় বস্ত্র) ও শিখা ধারণ করে থাকবে।অন্যথা সমস্ত কর্ম রাক্ষস কর্মে পরিণত হবে ও নিষ্ফল হয়ে যাবে।মানব জাতির পিতা মনু বলছেন- স্নানে দানে জপে হোমে সন্ধ্যায়াং দেবতার্চনে। শিখা গ্রন্থিং সদা কুর্যাৎ ইত্যেন মনুঃ অব্রবীৎ।। অনুবাদ-স্নান,দান,জপ,হোম,সন্ধ্যা বন্দনা,এবং পূজার্চনাতে সব সময় শিখা বন্ধন করে রাখবে। এটা মনুর নির্দেশ। শ...

মহান বৈষ্ণব আচার্য শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুরের তিরোধান তিথি

২৬/১২/২০১৮ মহান বৈষ্ণব আচার্য শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুরের তিরোধান তিথিতে গৌড়িয় সিংহপুরুষখ্যাত এই মহান আচার্যের জীবনী জানার জন্য পড়ুন নিচের বিশেষ লেখাটি শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু যৌবনে মাত্র ৪৮ বছর বয়সে জগত থেকে অন্তর্হিত হন। যদিও তাঁর পার্ষদ এবং দৃঢ়চেতা পরম্পরা আচার্যগণ, মহান বৈষ্ণবগণ এই অভিযান এগিয়ে নিয়ে গেছেন, কিন্তু একসময় কিছুকাল পরে মহাপ্রভুর সংকীর্তন আন্দোলন অন্তর্হিত হয়। মহাপ্রভুর শিক্ষা, মহাপ্রভুর নিদের্শনা এবং মহাপ্রভুর ধাম এই জগৎ থেকে অন্তর্হিত হয় এবং তদস্থলে সকল অপসম্প্রদায় গুলো আবির্ভূত হয়ে এমন শিক্ষার বিস্তার ঘটালো যা সম্পূর্ণরূপে মহাপ্রভুর শিক্ষার বিপরীত। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর শিক্ষা সম্পূর্ণরূপে পবিত্র ধর্মের নীতির ভিত্তিতে গঠিত, কিন্তু তাদের সেই ক্রিয়াকর্মগুলো ছিল সম্পূর্ণ অধার্মিক। এটি কলিযুগের আরেকটি চরিত্র। এই যুগ অধর্মের, তাই অধর্মীয় নীতিসমূহের ব্যাপক প্রসার ঘটবে এবং ধার্মিক নীতিসমূহ উপেক্ষিত হবে। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর অন্তর্ধানের পরে তা ঘটেছিল। অল্পকথায় বলতে গেলে, তাঁরা চৈতন্য মহাপ্রভুর নামে ধর্মের স্তম্ভস্বরূপ ৪টি বিধিনিষেধ ভঙ্গ ...

আমাদের প্রতিদিনের আহার্য খাদ্যও তিন গুণের দ্বারা প্রভাবিত

১) তমগুণের আহার হল, বাসি , পচা , শুটকি, বেজী, সাপ, শামুক, কাকড়া, চিকা, ইদুর, ইত্যাদি। এগুলি পাহাড়ীয়ারা খায় বা খেত। ২) রজগুণের আহার হল অতি স্বাদযুক্ত বড় বড় মাছের তরকারী, মাংস, বিরানী ইত্যাদি। ৩) সত্ত্বগুণের আহার হল, বিভিন্ন শাক, সবজি, আতপ অন্ন, সাগু, ফল মুল, দুধ ঘি, ছানা দ্বারা ইত্যাদি। কিন্তু ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বলেছেন, তুমি এই তিনগুণকে অতিক্রম কর। শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় বর্ণিত ৯/২৫ ও ৯/২৬ তে বুঝানো হয়েছে ভগবানে নিবেদিত ভোগ, পরবর্তীতে প্রসাদ আহারই শ্রেষ্ঠ ও গুণাতীত আহার। কিন্তু ওই তিনগুণের আহার করলে এই জড় জগতে চিরকাল আবদ্ধ থাকতে হবে। তাই, বিচার করুন আপনি কি আহার করবেন?

আমরা কারো সাথে দেখা হলে হরে কৃষ্ণ কেনো বলি?

অনেকে মনে করে " হরেকৃষ্ণ " শব্দটি ইসকন প্রচার করে এবং এটি তাদের সঙ্ঘের নিজস্ব। হরেকৃষ্ণ বল্লে বা সম্বোধন করলে অধিকাংশ লোকই মনে করে লোকটা ইসকনের। এটা তাদের অজ্ঞতাবশত: মনে করে থাকে। অনেকে সম্বোধনে "জয়গুরু " বলে কিন্তু মহাপবিত্র শব্দ" হরেকৃষ্ণ" বা কৃষ্ণনাম বলে না। আবার অনেকে কৃষ্ণনাম বলতে লজ্জাবোধ করে পারিপার্শ্বিক অবস্থার চাপে। হরেকৃষ্ণ বল্লে বন্ধুবান্ধবরা হয়তোবা টিটকারি মারবে তাই।         মহা পবিত্র ও আনন্দদায়ক শাশ্বত আশ্রয় " হরেকৃষ্ণ " নাম রেখেছেন স্বয়ং ভগবান বলরাম। বলরামও কৃষ্ণের অংশ। আর "কৃষ্ণনাম " রেখেছেন গর্গমুনি ধ্যানের মাধ্যমে জেনে।            যে নাম জপছে অবিরামভাবে সাধু-মুনী-ঋষি ও দেবতারা। গীতায় ভগবান বলেছেন, তিনি (পরমেশ্বর কৃষ্ণ) দেবতাদেরও আদি। অর্থাৎ তিনি অনাদির আদি গোবিন্দ, পরমেশ্বর ভগবান। একথা স্বয়ং সৃস্টিকর্তা ব্রহ্মাজীও বলেছেন। দেবতারাও ভগবানের মায়ায় মোহিত। সাধারণ মানবের কী কথা?                তাই, যে পবিত্র...

ইসকন এর উদ্দেশ্য

 ইসকন এর উদ্দেশ্যসমূহঃ ১। সুসংবদ্ধভাবে মানবসমাজে ভগবত্তত্ত্বজ্ঞান প্রচার করা এবং সমস্ত মানুষকে পারমার্থিক জীবনযাপনে অনুপ্রাণিত হতে শিক্ষা দেওয়া, যার ফলে জীবনের যথার্থ উদ্দেশ্য সম্বন্ধে বিভ্রান্তি প্রতিহত হবে এবং জগতে যথার্থ সাম্য এবং শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।  ২। ভগবদ্গীতা এবং শ্রীমদ্ভাগবতের অনুসরণে কৃষ্ণ-ভাবনার অমৃত প্রচার করা।  ৩। এই সংস্থার সমস্ত সদস্যদের পরস্পরের কাছে টেনে আনা এবং শ্রীকৃষ্ণের কাছে টেনে আনা এবং এইভাবে প্রতিটি সদস্য-চিত্তে এমন কি প্রতিটি মানুষের চিত্তে সেই ভাবনার উদয় করানো, যাতে সে উপলব্ধি করতে পারে যে, প্রতিটি জীবই হচ্ছে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বিভিন্ন অংশ।  ৪। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু প্রবর্তিত সমবেতভাবে ভগবানের দিব্য নাম কীর্তন করার যে সংকীর্তন আন্দোলন, সে সম্বন্ধে সকলকে শিক্ষা দেওয়া এবং অনুপ্রাণিত করা।  ৫। সংস্থার সদস্যদের জন্য এবং সমস্ত সমাজের জন্য একটি পবিত্র স্থান নির্মাণ করা যেখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর নিত্যলীলা-বিলাস করবেন এবং পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যে তা নিবেদিত হবে।  ৬। একটি সরল এবং অত্যন্ত ...