মহা পবিত্র ও আনন্দদায়ক শাশ্বত আশ্রয় " হরেকৃষ্ণ " নাম রেখেছেন স্বয়ং ভগবান বলরাম। বলরামও কৃষ্ণের অংশ। আর "কৃষ্ণনাম " রেখেছেন গর্গমুনি ধ্যানের মাধ্যমে জেনে।
যে নাম জপছে অবিরামভাবে সাধু-মুনী-ঋষি ও দেবতারা। গীতায় ভগবান বলেছেন, তিনি (পরমেশ্বর কৃষ্ণ) দেবতাদেরও আদি। অর্থাৎ তিনি অনাদির আদি গোবিন্দ, পরমেশ্বর ভগবান। একথা স্বয়ং সৃস্টিকর্তা ব্রহ্মাজীও বলেছেন। দেবতারাও ভগবানের মায়ায় মোহিত। সাধারণ মানবের কী কথা?
তাই, যে পবিত্র নামে আপনি উদ্ধার পাবেন বা মুক্ত হবেন, সেই মহাপবিত্র কৃষ্ণ নাম "হরেকৃষ্ণ" নামে লজ্জা থাকার কথা না।
***সারাজীবন কৃষ্ণনাম না করে শ্মশানঘাটে মৃত ব্যক্তির জন্য হরিবল বা কৃষ্ণনাম বলে কী হবে?
হয়তো পুরাটা শুদ্ধ হতে পারে বা মৃত ব্যক্তির কিছুটা সদ্গতি হতে পারে। কিন্ত পূর্ণ মুক্তি হবে না।
মৃত্যুর পূর্বেই মহাপবিত্র হরিনাম বা কৃষ্ণ নাম নিজে জপ করুন। শুদ্ধ ভক্তসঙ্গে কৃষ্ণ নাম শ্রবণ ও কীর্তন করুন। বৃন্দাদেবীকে প্রণাম ও আরতী করুন।
এ মনকি হাঁচি বা হেঁচ্ছো আসলেও "হরেকৃষ্ণ" বলতে হয়। হাঁচিতে ভগবানের কৃপায় ব্রেইন বা মস্তিষ্ক পরিষ্কার হয়। তাই কৃতজ্ঞতা স্বরূপ ভগবানের নাম নিতে হয়।
" হরেকৃষ্ণ" নাম সকল কাজ শুরু করার আগে বলুন। কারো সাথে দেখা হলে "হরেকৃষ্ণ" বলে নমস্কার বলতে পারেন। যে ব্যক্তি এই কৃষ্ণনাম শুনলো, সেও উপকৃত হবে। "হরেকৃষ্ণ" এই নামটি সর্বজনীন। এটা ইসকনের একার নয়। হরেকৃষ্ণ শব্দে ভগবানের অন্তরঙ্গা শক্তি "হরা", যা রাধারাণীর আরেক নাম, সম্বোধনে হরে অর্থাৎ রাধারাণীকে সম্বোধন করা হয়। আর "কৃষ্ণ" শব্দের অর্থ সর্বাকর্ষক অর্থাৎ যিনি সবকিছুকে আকর্ষণ করেন। বৃন্দাবনের গোপ-গোপী, বৃক্ষ, লতাপাতা, পশুপাখি, গাভীকে তিনি আকর্ষণ করেছেন। কামদেব মদনকে পর্যন্ত আকর্ষণ করেছেন। এজন্য কাহকে হাই হ্যালো ম্যাসেজ না বলে "হরেকৃষ্ণ" বলা উচিত।
মন্তব্যসমূহ