সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2019 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

"কুসুম সরোবর" এর জন্মকথা!

(কৃষ্ণলীলা) একবার রাধারাণী আর অষ্ট সখী ফুল তুলতে কুসুম সরোবর গোবর্ধন পৌছালেন। সব সখী আর রাধারাণী ফুল তুলতে লাগলেন। রাধা রাণী পথ হারিয়ে, সখীদের হারিয়ে ফেলেন। ফুল গাছের কাটাতে রাধারাণীর শাড়ী আটকে যায়। এদিকে কৃষ্ণ জানতে পারলেন, রাধারাণী অষ্ট সখীদের সাথে কুসুম সরোবরে ফুল তুলতে আসছে। এমনি মোহন মালীর বেশ ধারণ করে সরোবরে পৌঁছালেন। আর রাধারাণীর শাড়ী কাঁটা থেকে ছাড়িয়ে আর বললেন আমি এই বনের মালী। তখন সব সখীরা রাধার কাছে এল। মালীর রূপধারী কৃষ্ণ সখী আর রাধারাণীকে বললেন, আমার অনুপস্থিতিতে তোমরা সব বনকে উজাড় করে দিলে, সখীরা বিভিন্ন কথা বলতে ফুল সব মাটিতে পড়ে গেল। রাধারানী তখন মালীর বেশধারী কৃষ্ণের বাঁশী দেখে ফেলল। তখন রাধা বলল, বন মালী না তুমি বনবিহারী। রাধারাণী বলল, মাটি সব ফুল ফেলে দিলে শ্যাম, সব ফুলে মাটি লেগে গেল। কৃষ্ণ বলল, তুমি মন খারাপ করো না রাধে, আমি সব ফুল যমুনায় ধুয়ে আনছি। রাধা বলল, অনেক দেরি হয়ে যাবে শ্যাম আমার বর্ষানা যেতে হবে। তখন কৃষ্ণ নিজের বাঁশী দিয়ে এক সরোবর নির্মাণ করল। যাকে কুসুম সরোবর বলে। আর কৃষ্ণ জলে পুষ্প ধুলল। আর রাধারানীর মাথার বেনীতে ফুল দিয়ে শৃঙ্...

মোহিনী একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য

কুর্মপুরাণে বৈশাখ শুক্লপক্ষের 'মোহিনী' একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য বর্ণনা করা হয়েছে। মহারাজ যুধিষ্ঠির বললেন--হে জনার্দন! বৈশাখ শুক্লপক্ষীয়া একাদশীর কি নাম, কি ফল, কি বিধি-এসকল কথা আমার নিকট বর্ণনা করুন। উত্তরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বললেন-হে ধর্মপুত্র! আপনি আমাকে যে প্রশ্ন করেছেন পূর্বে শ্রীরামচন্দ্রও বশিষ্ঠের কাছে এই একই প্রশ্ন করেছিলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন-হে মুনিবর! আমি জনকনন্দিনী সীতার বিরহজনিত কারনে বহু দুঃখ পাচ্ছি। তাই একটি উত্তম ব্রতের কথা আমাকে বলুন। যার দ্বারা সর্বপাপ ক্ষয় ও সর্বদুঃখ বিনষ্ট হয়। এই কথা শুনে বশিষ্ঠ বললেন-হে রামচন্দ্র! তুমি উত্তম প্রশ্ন করেছ। যদিও তোমার নাম গ্রহণেই মানুষ পবিত্র হয়ে থাকে। তবুও লোকের মঙ্গলের জন্য তোমার কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ ও পরমপবিত্র একটি ব্রতের কথা বলছি। বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষীয়া একাদশী 'মোহিনী' নামে প্রসিদ্ধা। এই ব্রত প্রভাবে মানুষের সকল পাপ, দুঃখ ও মোহজাল অচিরেই বিনষ্ট হয়। তাই মানুষের উচিত সকল পাপক্ষয়কারী ও সর্বদুঃখবিনাশী এই একাদশী ব্রত পালন করা। একাগ্রচিত্তে তার মহিমা তুমি শ্রবণ কর। এই কথা শ্রবণমাত্রেই সমস্ত পাপ বিনষ্ট হয়। পবিত্র স...

শ্রী ভৈমী একাদশী মাহাত্ম্য

আজ পবিত্র ভৈমী একাদশী ব্রত। মাঘী শুক্লপক্ষীয়া ‘জয়া’ একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য ভবিষ্যোত্তরপুরাণে যুধিষ্ঠির-শ্রীকৃষ্ণ সংবাদরূপে ব র্ণিত আছে। শ্রীগরুড়পুরাণে মাঘ মাসের শুক্লাপক্ষীয়া একাদশী তিথিকে ‘ভৈমী’ একাদশী নামে অভিহিত করা হয়েছে। কল্পান্তরে বিভিন্ন পুরাণে বিভিন্ন নাম দেখা যায়। পদ্মপুরাণ অনুসারে জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষীয়া একাদশীর নামই ‘পান্ডব নির্জলা’ বা ‘ভীমসেনী’ (ভৈমী) একাদশী। যুধিষ্ঠির বললেন-হে কৃষ্ণ! আপনি কৃপা করে মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর সবিশেষ বর্ণনা করুন।শ্রীকৃষ্ণ বললেন হে মহারাজ! মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী ‘জয়া’ নামে প্রসিদ্ধ। এই তিথি সর্বপাপবিনাশিনী, সর্বশ্রেষ্ঠা, পবিত্রা, সর্বকাম ও মুক্তি প্রদায়িনী। এই ব্রতের ফলে মানুষ কখনও প্রেতত্ব প্রাপ্তি হয় না। এই একাদশীর নিম্নরূপ উপাখ্যান শোনা যায়। একসময় স্বর্গলোকে ইন্দ্র রাজত্ব করছিলেন। সেখানে অন্য দেবতারাও বেশ সুখেই ছিলেন। তারা পারিজাত পুষ্প শোভিত নন্দনকাননে অপ্সাদের সাথে বিহার করতেন। একদিন পঞ্চাশ কোটি অপ্সরা-নায়ক দেবরাজ ইন্দ্র স্বেচ্ছায় আনন্দভরে তাদের নৃত্য করতে বললেন। নৃত্যের সাথে গন্ধর্বগণ গান করতে লাগলেন। পুষ্পদত্...

স্মৃতিচারণ-শ্রীল জয়পতাকা স্বামী গুরুমহারাজের সাথে।

" এই চেয়ারটি নিয়ে এক লীলাকাহিনী আছে । একবার , অনেক বছর পূর্বে যখন গুরুমহারাজ আমাদের পরিদর্শন করতে নবতালবনে এসেছিলেন , তখন আমাদের দ্রুতই সবকিছু প্রস্তুত করতে হয়েছিল । যে স্থানটিতে তিনি অবস্থান করতেন , সেটা ছিল এক চলমান গৃহ যেটা কেনা হয়েছিল এবং ঐ সময়ে সেটি ছিল “ কিশোর বালকদের আশ্রম ” । তাই আমরা সেটা মেরামত করছিলাম । আমি , কিছু ভক্তদের কাছ থেকে একটা অভিনব বাঁশের চেয়ার ভাড়া করেছিলাম যেটার একটা গোলাকার ভিত ছিল । গুরুমহারাজ পৌঁছে   গিয়েছিলেন এবং সবকিছুই ভালভাবে চলছিল যতক্ষণ না তিনি বসবার কক্ষে গেলেন এবং চেয়ারটিতে বসলেন । গুরুমহারাজের সাথে যারা প্রসাদ পেয়েছিলেন এমন একজন প্রভুর কাছ থেকে আমি শুনেছিলাম যে পরবর্তীতে কি ঘটেছিল- যখন তাঁরা একটা প্রচন্ড শব্দে পতনের আওয়াজ শুনতে পেলেন , নিকটবর্তী কক্ষ থেকে তাঁরা দৌড়ে যেয়ে দেখলেন , সেখানে গুরুমহারাজ গড়াগড়ি খাচ্ছেন এবং হাসছেন! অভিনব চেয়ারটি ভেঙে পড়েছে! আমি যখন শুনলাম কি ঘটেছে , আমার হৃদয় প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল! তৎক্ষনাৎ আমি মন্দিরের পন্যবাহী যানটি নিয়ে আমার বাচ্চাদের তুলে এবং নিকটবর্তী শহরে চালিয়ে গেলাম এবং একটা মখমলে আবৃত এবং উচুঁ হেলান...

শ্রীমদ্ভাগবত "গুরু গ্রহনের কোন প্রয়োজনীয়তা নেই" এই দৃষ্টিভঙ্গির সমর্থন করে না।

ব্যাসদেবের মতো মহান তত্ত্বজ্ঞানী পন্ডিতেরও গুরু গ্রহনের আবশ্যতকতা ছিল , এবং তার গুরুদেব নারদ মুনির নির্দেশ অনুসারে , তিনি এই দিব্য সাহিত্যসম্ভার শ্রীমদ্ভাগবত প্রণয়ন করেছিলেন । এমনকি শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুও যিনি হচ্ছেন স্বয়ং পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ , তিনিও গুরু গ্রহন করেছিলেন । শ্রীকৃষ্ণ লোকশিক্ষার জন্য সান্দীপনি মুনিকে গুরুরূপে বরণ করেছিলেন । পৃথিবীর সমস্ত আচার্য এবং মহাত্মাদের গুরু ছিলেন । ভগবদগীতায় অর্জুন শ্র ীকৃষ্ণকে তার গুরুরূপে বরণ করেছিলেন , যদিও সেই প্রকার লৌকিকতার কোন প্রয়োজন ছিল না । অতএব প্রতিটি ক্ষেত্রেই , গুরু গ্রহনের প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে কোন সন্দেহই নেই । শর্ত কেবল একটিই , এবং তা হচ্ছে গুরুকে সৎ হতে হবে , অর্থাৎ গুরুদেবকে যথাযথ পরম্পরার অন্তর্ভুক্ত হতে হবে । তথ্যঃ শ্রীমদ্ভাগবতের ৩য় স্কন্ধের ৭ম অধ্যায়ের ৩৯নং শ্লোকের ভক্তিবেদান্ত তাৎপর্য থেকে সংগৃহিত ।

সঙ্গের প্রভাব

অনেক দিন আগে বিহার রাজ্যে ধর্মজিত নামে এক রাজা ছিলেন । তিনি তাঁর মন্ত্রী ও বন্ধুদের সাথে বনে ভ্রমণ করতে ভালোবাসতেন । একদিন রাজা তাঁর পাত্র-মিত্র ও মন্ত্রীদের সঙ্গে ভ্রমণ করতে বেরিয়েছিলেন । নদীর ধারে সুন্দর এক বন দেখে সেই বনে গিয়ে সুন্দর জলাশয় , বহু রকমের গাছপালা , নানা পশুপাখি দর্শন করে আনন্দে বেড়াতে লাগলেন । বনের মধ্যে ঘোরাঘুরি করতে করতে রাজা হঠাৎ শুনতে পেলেন একটি পাখির চিৎকার । পাখিটি মানুষের ভাষায় কথা বলছিল । পাখিটি কর্কশ কণ্ঠে বলছিল , ঐ যে দেখো রাজা এসেছে , সে   বড় ধনী , ওর মূল্যবান কাপড় ও গয়না লুট করে নাও , সবকিছু কেড়ে নাও । সেই কথা শুনেই কালো পোশাকে ঢাকা বিশাল চেহারাধারী ডাকাতের দলবল এসে রাজা ও তাঁর সঙ্গীদের ধনরত্ন সহ যা কিছু ছিল সবই লুট করে নিয়ে গেল । ডাকাতদের দ্বারা নিগৃহীত হয়ে রাজা প্রাণ বাঁচিয়ে রাজপ্রাসাদে ফিরে এলেন । রাজা আর কখনও বনে বেড়াতে যাবেন না বলে মনস্থ করলেন । তারপর বহুদিন কেটে গেল । অনেকদিন পর রাজা আবার ভ্রমণে বের হলেন । বহু দূরে গিয়ে এক অতীব সুন্দর তপোবন দেখতে পেলেন । সেখানে প্রবেশ করতেই কিছু দূরে দেখলেন একটি কুটির । পার্ষদদের সঙ্গে রাজা সেখানে ...

শ্রীল প্রভুপাদের গল্পে উপদেশ

এক গ্রামে এক গরীব বুড়ি বাস করত । জ্বালানীর অভাবে সে কিছু দূরে এক বনের মধ্যে ঢুকল । শুকনো ডালপালা জোগাড় করে একটি বড় বোঝা বাঁধল । বো ঝাটি একটু ভারী হওয়ার জন্য কোনভাবে বুড়ি তা নিজের মাথায় তুলতে পারল না । বার বার চেষ্টা করেও বিফল হল । সাহায্য করার জন্য কাছাকাছি কোন লোকজনকেও সে দেখতে পেল না । তখন সে ভগবানকে ডাকতে লাগল- “ হে ভগবান , ঘরে নাতি- নাতনিরা না খেয়ে আছে । আমি জ্বালানি নিয়ে গেলে ভাত রান্না হবে । হে দয়াময় , কৃপা করে এই বোঝাটি তুলে দাও । হে হরি , বেলা গড়িয়ে যাচ্ছে আমাকে বোঝাটি তুলে দাও । ” বুড়িমার কাতর মিনতি শুনে হঠাৎ এক সুন্দর বালক এসে হাজির হল । আমারও সময় নেই , শীগগিরি বলো- কি করতে হবে আমাকে ? বালকটি বলল ।   বুড়িমা বলল , মাথায় বোঝাটি তুলে দাও । অমনি বালকটি বোঝাটি তুলে দিয়ে বলল- আর কি করতে হবে ? উত্তরে বুড়িমা বলল- না বাবা , আর কিছু চাই না । তক্ষুনি ছেলেটি হাওয়ায় অদৃশ্য হয়ে গেল । বুড়ি কাউকে দেখতে না পেয়ে ঘরের দিকে বোঝা মাথায় চলতে লাগল ।     হিতোপদেশ - বর্তমান যুগে অধিকাংশ মানুষই পরমেশ্বর ভগবানকে নিজেদের চাকর বা দাস বানাতে চায় । ভগ...

ভক্তিযােগ অনুশীলন করবেন কিভাবে?

এই জগতের মায়াবদ্ধ জীব সর্বদা তাঁর ইন্দ্রিয়গুলি দিয়ে জড় বিষয় ভোগ করছে, ফলে সেগুলি কলুষিত হয়ে রয়েছে। ভক্তিযোগ হচ্ছে সেগুলি নির্মল করার পন্থা। ইন্দ্রিয়গুলিকে ভগবানের সেবায় নিযুক্ত করলে, সেগুলি জড় কলুষ থেকে মুক্ত হয়। পূনরূপে পবিত্র হলে ইন্দ্রিয়গুলি সরাসরি ভগবানের সংস্পর্শে আসে।আমাদের প্রত্যেকের হৃদয়ে রয়েছে সুপ্ত ভগবৎ- প্রেম। সেই ভগবৎ প্রেম এখন বিভিন্নভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। আমরা ভক্তিযোগ অনুশীলনের মাধ্যমে যখন জড় বিষয়াসক্তি থেকে সম্পূর্ণ  মুক্ত হব, তখন অন্তরের দিব্য কৃষ্ণপ্রেম প্রকাশিত হবে।  তাই সদগুরুর তত্ত্বাবধানে কিছু নির্দিষ্ট বিধি নিয়ম অভ্যাস করতে হয়। যেমন-   ভােরে ঘুম থেকে ওঠা স্নান করে মন্দিরে গিয়ে ভগবানের আরতিতে যােগদান হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ ফুল তুলে ভগবানকে তা নিবেদন করা রান্না করে ভগবানকে ভােগ নিবেদন প্রসাদ গ্রহণ করা শুদ্ধ ভক্তের নিকট থেকে নিয়মিত শ্রীমদ্ভাগবত ও শ্রীমদ্ভগবদগীতা শ্রবণ করতে হয়  এগুলি অনুশীলন করলে যে- কেউ তার হৃদয়ের দিব্য কৃষ্ণপ্রেম বিকশিত করতে পারেন।  অবশ্য কেউ যদি সদ্গুরুর তত্ত্বাবধানে বৈধীভক্তি অনুশীলন করতে অসমর্থ হন, তা...

ষটতিলা' একাদশীর মাহাত্ম্য

মাঘ মাসের কৃষ্ণপক্ষের `ষটতিলা' একাদশীর মাহাত্ম্য ভবিষ্যোত্তর পুরাণে বর্ণিত আছে।যুধিষ্ঠির মহারাজ বললেন, হে জগন্নাথ! মাঘ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীর নাম কি, বিধিই বা কি, ফল কি সবিস্তারে আমাকে বলুন। ভগবান বললেন, এই তিথি ষটতিলা নামে জগতে প্রসিদ্ধ।একসময় দাল্ভ্য ঋষি মুনিশ্রেষ্ঠ পুলস্তকে জিজ্ঞাসা করেন, মর্ত্যলোকে মানুষেরা ব্রহ্মহত্যা, গোহত্যা, অন্যের সম্পদ হরণ আদি পাপকর্মের দ্বারা নরকে গমন করে। যাতে তারা নরকগতি থেকে রক্ষা পায়, তা যথাযথভাবে আমাকে উপদেশ করুন। অনায়াসে সাধন করা যায় এমন কোনো কাজের মাধ্যমে যদি তাদের এই পাপ থেকে উদ্ধারের কোনো উপায় থাকে, তবে তা বলুন। ঋষি পুলস্ত বললেন, হে মহাভাগ! তুমি একটি গোপনীয় উত্তম বিষয়ে প্রশ্ন করেছ। মাঘ মাসে শুচি, জিতেন্দ্রিয়, কাম, ক্রোধ আদি শূন্য হয়ে স্নানের পর সর্বদেবেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের পূজা করবে। পূজাতে কোন বিঘ্ন ঘটলে কৃষ্ণনাম স্মরণ করবে। রাত্রিতে অর্চনান্তে হোম করবে। তারপর চন্দন, অগুরু, কর্পূর ও শর্করা প্রভৃতি নৈবেদ্য প্রস্তুত করে ভগবানকে নিবেদন করবে। কুষ্মাণ্ড,নারকেল অথবা একশত গুবাক দিয়ে অর্ঘ্য প্রদান করবে `কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃপালুস্ত্বমগতীনাং গতির্ভব' ইত...

স্মৃতিচারণ-শ্রীল জয়পতাকা স্বামী গুরুমহারাজের সাথে

লীলাকাহিনীর পুনঃকথন- গতসপ্তাহে শুক্রবারের স্মৃতিচারণ, শ্রীল প্রভুপাদের শিষ্যা শ্রীমতি রচিতাম্বরা দেবী দাসী কর্তৃক কথিত হয়েছিল। এখানে সেই একই লীলা তাঁর কন্যা শ্রীমতি জয় রাধিকা দেবী দাসী কর্তৃক পুনঃকথিত হয়েছে, যিনি হলেন গুরুমহারাজের শিষ্যা। আমি গুরুমহারাজের প্রতাপশালী লীলাকাহিনীগুলো পছন্দ করি। সেগুলো অনন্য, সিগ্ধ শীতলতাপূর্ণ এবং বেশ মজাদার এবং এককথায় চমৎকার। সেগুলো সর্বদা আমাকে মনে করিয়ে দেয় যখন তিনি, আমার পিতার নির্মানকৃত ধনুকে জ্যাঁ বেঁধেছিলেন এবং তীর ছুড়েছিলেন। এটা অনেকটা অর্জুনকে দেখার মত মনে হয়েছিল। জয় গুরুমহারাজ কি জয়!! আমি শঙ্কিত যে, সেসময়ের কোন ছবি নেই...এটা অনেক বছর পূর্বে মায়াপুরের প্রথম দিকের কাহিনী। আমাদের তখন কোন ক্যামেরা ছিল না। আমার পিতা অর্জুনের মত একটা ধনুক নির্মান করতে চেয়েছিলেন। এটা একটা সুন্দর নির্মান ছিল। যেখানে ফুল, পাতা, আঙ্গুর লতা ইত্যাদি দ্বারা সজ্জিত ছিল। কিন্তু তিনি এতই সুন্দর কাজ করেছিলেন যে, এটা খুবই মজবুত ছিল। তিনি ধনুকটি বাঁকাতেই পারছিলেন না আর জ্যাঁ বাঁধার কি কথা! আমার পিতা খুবই শক্তসমর্থ ব্যক্তি ছিলেন কিন্তু তারপরও তাঁর দ্বারা ধনুকটি বাঁকানো সম্...