এই জগতের মায়াবদ্ধ জীব সর্বদা তাঁর ইন্দ্রিয়গুলি দিয়ে জড় বিষয় ভোগ করছে, ফলে সেগুলি কলুষিত হয়ে রয়েছে। ভক্তিযোগ হচ্ছে সেগুলি নির্মল করার পন্থা। ইন্দ্রিয়গুলিকে ভগবানের সেবায় নিযুক্ত করলে, সেগুলি জড় কলুষ থেকে মুক্ত হয়। পূনরূপে পবিত্র হলে ইন্দ্রিয়গুলি সরাসরি ভগবানের সংস্পর্শে আসে।আমাদের প্রত্যেকের হৃদয়ে রয়েছে সুপ্ত ভগবৎ- প্রেম। সেই ভগবৎ প্রেম এখন বিভিন্নভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। আমরা ভক্তিযোগ অনুশীলনের মাধ্যমে যখন জড় বিষয়াসক্তি থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হব, তখন অন্তরের দিব্য কৃষ্ণপ্রেম প্রকাশিত হবে।
তাই সদগুরুর তত্ত্বাবধানে কিছু নির্দিষ্ট বিধি নিয়ম অভ্যাস করতে হয়। যেমন-
- ভােরে ঘুম থেকে ওঠা
- স্নান করে মন্দিরে গিয়ে ভগবানের আরতিতে যােগদান
- হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ
- ফুল তুলে ভগবানকে তা নিবেদন করা
- রান্না করে ভগবানকে ভােগ নিবেদন
- প্রসাদ গ্রহণ করা
- শুদ্ধ ভক্তের নিকট থেকে নিয়মিত শ্রীমদ্ভাগবত ও শ্রীমদ্ভগবদগীতা শ্রবণ করতে হয়
এগুলি অনুশীলন করলে যে- কেউ তার হৃদয়ের দিব্য কৃষ্ণপ্রেম বিকশিত করতে পারেন। অবশ্য কেউ যদি সদ্গুরুর তত্ত্বাবধানে বৈধীভক্তি অনুশীলন করতে অসমর্থ হন, তা হলে তিনি কেবল ভগবানের জন্য কর্তব্যকর্ম করার মাধ্যমে সিদ্ধিলাভ করতে পারেন।
- তিনি ভগবানের বাণী প্রচারে সহায়তা করতে পারেন
- প্রচারের জন্য সংগঠন, জায়গা, মূলধন - সবই দরকার এবং তিনি এইসবে সাহায্য করতে পারেন
- সুন্দর সুন্দর মন্দির
- অতিথিগৃহ প্রভৃতি ভগবানের সেবার জন্য নির্মাণ করতে পারেন
- তিনি গ্রন্থ প্রকাশেও সাহায্য করতে পারেন
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সন্তুষ্টির জন্য যেহেতু এগুলি নির্মিত হয়, তাই এই সব কর্ম পারমার্থিক কর্মে পরিণত হয়। ভগবানের সেবার অসংখ্য সুযােগ রয়েছে, বহু ধরনের সেবাকর্ম রয়েছে। কৃষ্ণভাবনামৃত প্রচারের কাজে স্বেচ্ছায় সেবা করার ফলে, ভগবৎ - প্রেমের স্তরে উন্নীত হওয়া যায় এবং ভগবদ্বামে ফিরে যাওয়া যায় ॥হরেকৃষ্ণ॥
মন্তব্যসমূহ