সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2018 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শিখা রাখার গুরুত্ব।

★বৈদিক সংস্কৃতিতে দশবিধ সংস্কারের কথা উল্লেখ রয়েছে। তার মধ্যে সপ্তম সংস্কার হচ্ছে চূড়াকরণ। চূড়াকরণসংস্কারে মাথায় শিখা রাখতে হয়।কেননা চূড়াকরণ বা শিখা রাখার পরেই উপনয়ণ বা দীক্ষা লাভ করা হয়। শিখা রেখে গুরুদেব তাঁর শিষ্যকে সংস্কারের পাত্র করে তোলেন।এখন শিখা ধারণের আবশ্যকতা নিয়ে আলোচনা করব। সদোপবীতিনা ভাব্যং সদা বদ্ধ শিখেন চ। বিশিখো বি উপবিতশ্চ যৎ করোতি ন তৎ কৃতম্।।(কাত্যায়ন স্মৃতি ১/৪)। অনুবাদ- সবসময় উপবীতি (উপবীতি অর্থ পৈতা ধারণ অথবা বাম কাঁধে পৈতার মতো উত্তরীয় বস্ত্র ধারণ), ও শিখা বন্ধন করে থাকবে।কারণ শিখা বিহীন কোন ধর্ম কাজ সফল হয় না। ঋষি ব্যাসদেব বলছেন- বিনা যৎ শিখয়া কর্ম বিনা যজ্ঞোপবীতম্। রাক্ষসং তদ্ধি বিজ্ঞেয়ং সমস্তা নিষ্ফলা ক্রিয়াঃ।। অনুবাদ- সবসময় উপবীত (অথবা উত্তরীয় বস্ত্র) ও শিখা ধারণ করে থাকবে।অন্যথা সমস্ত কর্ম রাক্ষস কর্মে পরিণত হবে ও নিষ্ফল হয়ে যাবে।মানব জাতির পিতা মনু বলছেন- স্নানে দানে জপে হোমে সন্ধ্যায়াং দেবতার্চনে। শিখা গ্রন্থিং সদা কুর্যাৎ ইত্যেন মনুঃ অব্রবীৎ।। অনুবাদ-স্নান,দান,জপ,হোম,সন্ধ্যা বন্দনা,এবং পূজার্চনাতে সব সময় শিখা বন্ধন করে রাখবে। এটা মনুর নির্দেশ। শ...

মহান বৈষ্ণব আচার্য শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুরের তিরোধান তিথি

২৬/১২/২০১৮ মহান বৈষ্ণব আচার্য শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুরের তিরোধান তিথিতে গৌড়িয় সিংহপুরুষখ্যাত এই মহান আচার্যের জীবনী জানার জন্য পড়ুন নিচের বিশেষ লেখাটি শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু যৌবনে মাত্র ৪৮ বছর বয়সে জগত থেকে অন্তর্হিত হন। যদিও তাঁর পার্ষদ এবং দৃঢ়চেতা পরম্পরা আচার্যগণ, মহান বৈষ্ণবগণ এই অভিযান এগিয়ে নিয়ে গেছেন, কিন্তু একসময় কিছুকাল পরে মহাপ্রভুর সংকীর্তন আন্দোলন অন্তর্হিত হয়। মহাপ্রভুর শিক্ষা, মহাপ্রভুর নিদের্শনা এবং মহাপ্রভুর ধাম এই জগৎ থেকে অন্তর্হিত হয় এবং তদস্থলে সকল অপসম্প্রদায় গুলো আবির্ভূত হয়ে এমন শিক্ষার বিস্তার ঘটালো যা সম্পূর্ণরূপে মহাপ্রভুর শিক্ষার বিপরীত। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর শিক্ষা সম্পূর্ণরূপে পবিত্র ধর্মের নীতির ভিত্তিতে গঠিত, কিন্তু তাদের সেই ক্রিয়াকর্মগুলো ছিল সম্পূর্ণ অধার্মিক। এটি কলিযুগের আরেকটি চরিত্র। এই যুগ অধর্মের, তাই অধর্মীয় নীতিসমূহের ব্যাপক প্রসার ঘটবে এবং ধার্মিক নীতিসমূহ উপেক্ষিত হবে। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর অন্তর্ধানের পরে তা ঘটেছিল। অল্পকথায় বলতে গেলে, তাঁরা চৈতন্য মহাপ্রভুর নামে ধর্মের স্তম্ভস্বরূপ ৪টি বিধিনিষেধ ভঙ্গ ...

আমাদের প্রতিদিনের আহার্য খাদ্যও তিন গুণের দ্বারা প্রভাবিত

১) তমগুণের আহার হল, বাসি , পচা , শুটকি, বেজী, সাপ, শামুক, কাকড়া, চিকা, ইদুর, ইত্যাদি। এগুলি পাহাড়ীয়ারা খায় বা খেত। ২) রজগুণের আহার হল অতি স্বাদযুক্ত বড় বড় মাছের তরকারী, মাংস, বিরানী ইত্যাদি। ৩) সত্ত্বগুণের আহার হল, বিভিন্ন শাক, সবজি, আতপ অন্ন, সাগু, ফল মুল, দুধ ঘি, ছানা দ্বারা ইত্যাদি। কিন্তু ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বলেছেন, তুমি এই তিনগুণকে অতিক্রম কর। শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় বর্ণিত ৯/২৫ ও ৯/২৬ তে বুঝানো হয়েছে ভগবানে নিবেদিত ভোগ, পরবর্তীতে প্রসাদ আহারই শ্রেষ্ঠ ও গুণাতীত আহার। কিন্তু ওই তিনগুণের আহার করলে এই জড় জগতে চিরকাল আবদ্ধ থাকতে হবে। তাই, বিচার করুন আপনি কি আহার করবেন?

আমরা কারো সাথে দেখা হলে হরে কৃষ্ণ কেনো বলি?

অনেকে মনে করে " হরেকৃষ্ণ " শব্দটি ইসকন প্রচার করে এবং এটি তাদের সঙ্ঘের নিজস্ব। হরেকৃষ্ণ বল্লে বা সম্বোধন করলে অধিকাংশ লোকই মনে করে লোকটা ইসকনের। এটা তাদের অজ্ঞতাবশত: মনে করে থাকে। অনেকে সম্বোধনে "জয়গুরু " বলে কিন্তু মহাপবিত্র শব্দ" হরেকৃষ্ণ" বা কৃষ্ণনাম বলে না। আবার অনেকে কৃষ্ণনাম বলতে লজ্জাবোধ করে পারিপার্শ্বিক অবস্থার চাপে। হরেকৃষ্ণ বল্লে বন্ধুবান্ধবরা হয়তোবা টিটকারি মারবে তাই।         মহা পবিত্র ও আনন্দদায়ক শাশ্বত আশ্রয় " হরেকৃষ্ণ " নাম রেখেছেন স্বয়ং ভগবান বলরাম। বলরামও কৃষ্ণের অংশ। আর "কৃষ্ণনাম " রেখেছেন গর্গমুনি ধ্যানের মাধ্যমে জেনে।            যে নাম জপছে অবিরামভাবে সাধু-মুনী-ঋষি ও দেবতারা। গীতায় ভগবান বলেছেন, তিনি (পরমেশ্বর কৃষ্ণ) দেবতাদেরও আদি। অর্থাৎ তিনি অনাদির আদি গোবিন্দ, পরমেশ্বর ভগবান। একথা স্বয়ং সৃস্টিকর্তা ব্রহ্মাজীও বলেছেন। দেবতারাও ভগবানের মায়ায় মোহিত। সাধারণ মানবের কী কথা?                তাই, যে পবিত্র...

ইসকন এর উদ্দেশ্য

 ইসকন এর উদ্দেশ্যসমূহঃ ১। সুসংবদ্ধভাবে মানবসমাজে ভগবত্তত্ত্বজ্ঞান প্রচার করা এবং সমস্ত মানুষকে পারমার্থিক জীবনযাপনে অনুপ্রাণিত হতে শিক্ষা দেওয়া, যার ফলে জীবনের যথার্থ উদ্দেশ্য সম্বন্ধে বিভ্রান্তি প্রতিহত হবে এবং জগতে যথার্থ সাম্য এবং শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।  ২। ভগবদ্গীতা এবং শ্রীমদ্ভাগবতের অনুসরণে কৃষ্ণ-ভাবনার অমৃত প্রচার করা।  ৩। এই সংস্থার সমস্ত সদস্যদের পরস্পরের কাছে টেনে আনা এবং শ্রীকৃষ্ণের কাছে টেনে আনা এবং এইভাবে প্রতিটি সদস্য-চিত্তে এমন কি প্রতিটি মানুষের চিত্তে সেই ভাবনার উদয় করানো, যাতে সে উপলব্ধি করতে পারে যে, প্রতিটি জীবই হচ্ছে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বিভিন্ন অংশ।  ৪। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু প্রবর্তিত সমবেতভাবে ভগবানের দিব্য নাম কীর্তন করার যে সংকীর্তন আন্দোলন, সে সম্বন্ধে সকলকে শিক্ষা দেওয়া এবং অনুপ্রাণিত করা।  ৫। সংস্থার সদস্যদের জন্য এবং সমস্ত সমাজের জন্য একটি পবিত্র স্থান নির্মাণ করা যেখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর নিত্যলীলা-বিলাস করবেন এবং পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যে তা নিবেদিত হবে।  ৬। একটি সরল এবং অত্যন্ত ...

নোয়াখালীর পরমার্থিক বার্তাঃ আজ পবিত্র গোপাষ্টমী তিথি।

”আজ পবিত্র গোপাষ্টমী তিথি। আমি সমস্ত গোপ এবং গোপীদের স্বাগত জানাই, যদিও এটা বলা কঠিন কে গোপ আর কে গোপী, অনেক গোপীই গোপবেশ ধারণ করায়, তাঁদের চিনতে পারা খুবই দুরূহ ব্যাপার, কেউ বলতে পারে না।     তো আজই সেই দিন, যেদিন নন্দ মহারাজ ঠিক করলেন যে, কৃষ্ণ এখন বড় দায়িত্বের জন্যে প্রস্তুত। এর আগে কৃষ্ণ গো-বৎসদের দেখাশোনা করতেন এবং আজকের দিনেই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে গাভীদের দেখাশোনা করার অনুমোদন পান।    শ্রীল প্রভুপাদ বলেছেন, গোবর্ধন পূজার মত, গোপাষ্টমীতেও আমরা গাভীদের পূজা করি। শুধুমাত্র আমরা নই, শুধুমাত্র দেবতারা নন, এমনকি কৃষ্ণ স্বয়ং। তিনি গাভীদের পূজা করেছিলেন, তাদের যত্ন নিয়েছিলেন। এই দৃষ্টান্তের মাধ্যমে বোঝা যায়, এটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ।” শ্রীল জয়পতাকা স্বামী গুরুমহারাজ গোপাষ্টমী  ১৯শে নভেম্বর, ২০১৫ শ্রীধাম মায়াপুর।

নোয়াখালীর পরমার্থিক বার্তাঃ কালাচাঁন মত ছেড়ে ইসকন মত গ্রহন করায় নারায়ণগঞ্জ লাঙ্গলবন্দে একঘরে তিন পরিবার।

জল দরকার। আনতে গেলে বাধা। মন্ডপে পূজা, তাতেও মানা। গেলেও বের করে দেয়া হয়। প্রতিবেশিদের কড়া ভষায় বলে দেওয়া হয়েছে, কেউ ওদের বাড়ি ঢুকতে পারবে না। ওদের দোকানে যাওয়া যাবে না। সব ধরনের লেনদেন নিষিদ্ধ। কোনো সম্পর্ক রাখা যাবে না। কথার অমান্য হলে তারও একই পরিণতি হবে। এমন সব নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দেড় বছর ধরে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার তিনটি হিন্দু পরিবারকে একঘরে করে রেখেছেন একই সম্প্রদায়ের মাতব্বররা। অভিযোগ রয়েছে, সামাজিক ভাবে হেয় করতে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাও দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় খুব কষ্টে দিন কাটছে এই তিন পরিবারের সদস্যদের। স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কালাচাঁন মত ছেড়ে ইসকন মত গ্রহন করায় বাবুল চন্দ্র দাস, তার ভগ্নি পতি ধীরেণ চন্দ্র দাস ও ধীরেণের ছোট ভাই বীরেন চন্দ্র দাসের পরিবারকে একঘরে করে রাখা হয়েছে। তারা লাঙ্গলবন্দ এলাকার বাসিন্দা। যে মতভিন্নতার জন্য একঘরে করা হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে উভয় মতের লোকজনই কৃষ্ণানুরাগী। কালাচাঁন আদি আর ইসকন হল আমলের মত। তাছাড়া ধর্মীয় মত-পথের কারণে একঘরে করার কোনো আইন নেই। উল্টো এ ধরনের পদক্ষেপ অপরাধ হিসেবে গন্য হওয়ার কথা। উপজেলা সমাজসেবা ...

কৃষ্ণকৃপাশ্রীমূর্তি শ্রীল অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ।

  ১৯৭৬ সাল ডিসেম্বর মাস শ্রীল প্রভুপাদ খুব অসুস্থ হলেন। তখন প্রভুপাদ মিন্টোপার্কের আলবার্ট রোডের শ্রীরাধাগোবিন্দমন্দিরে অবস্থান করছেন। কোথাও বের হন না। প্রতিদিন প্রভুপাদকে দর্শন করার জন্য তার শিষ্য প্রফেসার ডাক্তার, এসিস্ট্যান্ট প্রফেসার আসতেন। আবার কোন প্রভুপাদের ঘনিষ্টজন সাথে ভাল ডাক্তার নিয়ে হাজির হতেন। কিন্তু প্রভুপাদ সবাইকে নিরাশ করতেন এই বলে যে, তিনি হোমিওপ্যাথি ও ভেষজ ঔষধ ছাড়া অন্যকিছু নিবেন না। একদিন রাতে প্রভুপাদ ভক্তিচারু মহারাজকে ডেকে আনালেন। এবং মহারাজ আসলে তিনি কোলকাতার একজনের ঠিকানা দিলেন যিনি কবিরাজ ডাক্তার। তাকে নিয়ে আসার জন্য। পরদিন ভক্তিচারু মহারাজ সেখানে গিয়ে দেখলেন সেই কবিরাজ মশাই প্রভুপাদ থেকেও অনেক বৃদ্ব ও তিনিও খুব অসুস্থ। ভক্তিচারু মহারাজ বৃদ্ব কবিরাজ মশাইকে প্রভুপাদের নাম বলতেই তার চোঁখ জ্বলজ্বল করে উঠল এবং বলল, ''চল আমি যাব''। এক সপ্তাহ সেই কবিরাজ মশাইয়ের ভেষজ গুলি খেয়ে প্রভুপাদ সম্পুর্ন সুস্থ হয়ে গেলেন এবং সেক্রেটারিকে বললেন লন্ডনে যাবেন দ্রুত প্লেনের টিকেটের ব্যবস্থা করতে। তিনি লন্ডন গেলেন ঠিকই কিন্তু কয়েকদিন পর তিনি আবারও প্রচন্ড অসুস্থ...

কৃষ্ণ কোন ভক্তকে কীভাবে সাহায্য করেন?????

  কৃষ্ণ কোন ভক্তকে কীভাবে সাহায্য করেন ? প্রশ্ন : আমার প্রশ্নটি খুব তুচ্ছ, কিন্তু তবুও আমি জানতে চাই কীভাবে কৃষ্ণ কোন ভক্তকে সাহায্য করেন? শ্রীল জয়প তাকা স্বামী গুরুমহারাজ: কৃষ্ণ বিভিন্ন উপায়ে একজন ভক্তকে সাহায্য করতে পারেন। আমরা তাঁর অনুগ্রহের পন্থাগুলিকে পরিমাপ করতে পারি না। যেমন ধরুন, একটি মজার গল্প আছে। একটি বড় বন্যাকবলিত এলাকায় এক লোক ছিল। সে তার ঘরে গিয়ে বলত, হে ভগবান! আমাকে এই বিশাল বন্যা থেকে উদ্ধার কর। আর তখন একটি নৌকা এল, সে বলল, না না, আমি চাই কেবল ভগবান এসে আমাকে উদ্ধার করবে। এরপর হেলিকপ্টার এল। না, না, আমাকে কেবল ভগবানই উদ্ধার করবে। এমনকি যখন কৃষ্ণ যখন নিজে সেই ব্যক্তির সামনে উপস্থিত হলেন, সে বলল, তুমি কেন আমাকে আগে বাঁচাওনি? তিনি বললেন, আমি একটি নৌকা পাঠালাম, একটি হেলিকপ্টার পাঠালাম, তুমি আর কী চাও? তো এভাবে তিনি বাহ্যিকভাবে বা অভ্যন্তরীণ উপায়ে সহায়তা করতে পারেন। গীতায় বলা আছে কৃষ্ণ জ্ঞান, স্মৃতি ও বিস্মৃতি দান করেন। সুতরাং তিনি আমাদের সংশয়ও নাশ করেন। ~শ্রীল জয়পতাকা স্বামী গুরুমহারাজ ২৪শে জুলাই, ২০১৮ চেন্নাই, ভারত

ইসকনের রথযাত্রা উৎসবের মেরুদণ্ড---শ্রীপাদ জয়ানন্দ প্রভু

শ্রীপাদ জয়ানন্দ প্রভু: ইসকনের রথযাত্রা উৎসবের মেরুদণ্ড শ্রীপাদ জয়ানন্দ দাস (জিম কোর) আমেরিকার ওহিওতে এক উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬২ সালে ওহিও স্ টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি সানফ্রান্সিসকোতে একটি পত্রিকায় শ্রীল প্রভুপাদের কৃষ্ণনামের মহিমা বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানের সংবাদ জানতে পারেন এবং তিনি সেখানে অংশগ্রহণ করেন। শ্রীল প্রভুপাদকে দর্শন করে এবং তাঁর কথা শ্রবণ করার পর এক দুর্নিবার আকর্ষণ অনুভব করে মানবজন্ম সার্থক করার ব্রতে শ্রীল প্রভুপাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। শ্রীপাদ জয়ানন্দ প্রভু ছিলেন সেবার প্রতি অত্যন্ত নিষ্ঠাপরায়ণ। মাত্র ২৮ বছর বয়সেই শ্রীপাদ জয়ানন্দ প্রভু সানফ্রানসিসকো মন্দিরের অধ্যক্ষরূপে দায়িত্ব লাভ করেন। শ্রীপাদ জয়ানন্দ প্রভু সম্বন্ধে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে শ্রীল মুকুন্দ গোস্বামী বলেছেন, “তিনি তৎকালীন ভক্তদের মধ্যে সবচেয়ে দায়িত্ববান ও নিঃস্বার্থ ছিলেন। কেউ তাঁর মধ্যে একফোঁটা স্বার্থ গন্ধও খুঁজে পাবে না। তিনি সব সময় সেবায় ব্যস্ত থাকতেন। তাঁকে আমরা কখনও দাঁড়িয়ে বা বসে থাকতে দেখিনি। ভগবানের স...