যমেশ্বর শিব মন্দিরের মনোরম উদ্যানে গদাধর পণ্ডিত প্রত্যহ শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ করতেন। যেখানে মহাপ্রভু কখনই অনুপস্থিত থাকতেন না। গদাধরের শ্রীমুখে মহাপ্রভু শতবার ধ্রুব মহারাজের উপাখ্যান শ্রবণ করেছেন। একদিন মহাপ্রভু অপ্রাকৃত কৃষ্ণবিরহ লীলা প্রকাশ করলেন। তিনি কৃষ্ণের খোঁজে ভূমি খনন করতে লাগলেন। একসময় একটি পাথরের মুকুটের অগ্রভাগ দেখা গেল। মহাপ্রভু গদাধরকে বললেন,"গদাই, এখানে এক অমূল্য সম্পদ আছে তুমিকি আমার কাছ থেকে তা নিতে চাও?" গদাধর প্রভু বিস্মিত হলেন। অতপর তারা দুজনে মিলে সেই বিগ্রহকে বালুকা রাশি হতে উত্তোলন করলেন। মহাপ্রভু বিগ্রহের নাম দিলেন গোপীনাথ। আর উদ্যানে বিহারী (উড়িয়া ভাষায় তোটা) বলে তাঁর নাম হলো তোটা গোপীনাথ। অতপর শ্রীমন্মহাপ্রভু শ্রী গদাধর প্রভুর ক্ষেত্রসন্ন্যাসের ব্যবস্থা করে তাকে তোটা গোপীনাথের সেবায় নিযুক্ত করলেন।
শ্ৰীরামানন্দ রায় রাজা শ্ৰী প্ৰতাপরুদ্রের অধীন পূৰ্ব্ব ও পশ্চিম গোদাবরীর বিশ্বস্ত শাসন কৰ্ত্তার পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। চৈতন্য মহাপ্ৰভু যখন দক্ষিণ দেশে যাত্ৰা করেন, শ্ৰীসাৰ্বভৌম আচার্য্য বিশেষ অনুরোধ করেন মহাপ্রভু যেন শ্ৰীরামানন্দ রায়ের সঙ্গে মিলিত হন । “তোমার সঙ্গে যোগ্য তেঁহো একজন, পৃথিবীতে রসিক ভক্ত নাহি তার সম''।।চৈঃচঃ মধ্যঃ শ্রীচৈতন্য মহাপ্ৰভু দক্ষিণ দেশ অভিমুখে যাত্ৰা করেন। হরিনামের প্রেম বিতরণ করতে করতে এলেন পশ্চিম গোদাবরীর তীরে । পন্ডিত সাৰ্ব্বভৌমের অনুরোধ অনুযায়ী শ্ৰীরামানন্দ রায়ের সঙ্গে মিলিত হবার ইচ্ছা মহাপ্ৰভুর মনে সদা জাগ্রত ছিল । শ্ৰীমহাপ্ৰভু গোদাবরীর মনোহর তটে এক বৃক্ষমূলে বসে আছেন । তার অঙ্গ কান্তিতে চতুৰ্দ্দিক যেন আলোকিত হচ্ছিল । এমন সময় অনতিদূরে রাজপথ দিয়ে স্নান করতে যাচ্ছেন শ্ৰীরামানন্দ রায়, সাথে বৈদিক ব্ৰাহ্মণগনের বিবিধ বাজনা । শ্ৰীরামানন্দ রায় দূর থেকে উপবিষ্ট বৃক্ষমুলে কান্তিযুক্ত সন্ন্যাসীবরকে একদৃষ্টিতে দৰ্শন করতে লাগলেন এবং মহাপ্ৰভুও তঁকে অপলক নেত্ৰে দেখতে লাগলেন । নয়নে নয়নে হল মিলন । তারপর শ্ৰীরামানন্দ পালকি থেকে নেমে শ্ৰীমহাপ্ৰভুর চরনে দন্ডবৎ ক...
মন্তব্যসমূহ