আমরা সবাই পৌষ সংক্রান্তি হিসেবে জানলেও একে মকর, উত্তরায়ণ বা তিল সংক্রান্তিও বলা হয়। চলুন, দেখা নেয়া যাক সেই মহিমান্বিত তিথিতে আসলে কি হয়েছিল! আজ কলিযুগ পাবনাবতারী শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর ৫১১ তম সন্ন্যাস লীলা মহোৎসব। অর্থাৎ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ১৫১০ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ২৪ বছর বয়সে এই পৌষ-সংক্রান্তির দিনেই কন্টকনগরে অর্থাৎ কাটোয়ায় গুরু কেশবভারতের কাছ থেকে সন্ন্যাস দীক্ষা প্রাপ্ত হন।
বৃন্দাবন দাস তাঁর চৈতন্যভাগবতে লিখেছেন
এই সংক্রমণ উওরায়ণ দিবসে।
নিশ্চয় চলিব আমি করিতে সন্ন্যাসে।।
...................মধ্যখন্ড, ২৬ অধ্যায়





এখন, যারা আমার মত সরকারি চাকরী-প্রত্যাশী তারা অবশ্যই বুঝবেন যে, চাকরী পেতে কত কষ্ট
করতে হয়। তাহলে আপনি ভগবানকে পুত্ররূপে লাভ করবেন সেটা কি কষ্ট ছাড়া সম্ভব? 


অর্থাৎ, মাতা যশোদা পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে পুত্ররূপে পাওয়ার জন্য আজকের এই পৌষ বা মকর সংক্রান্তির দিন থেকে উনার কঠোর তপশ্চর্যা
শুরু করেছিলেন।



তখন গঙ্গা মহারাজ ভগীরথের পূর্ব-পুরুষদের উদ্ধার করে এই পৌষ সংক্রান্তির দিন সাগরে মিলিত হয়েছিলেন। যেহেতু গঙ্গা সাগরে মিলিত হয়েছিলেন, তাই বিশাল এক গঙ্গাসাগর মেলা অনুষ্ঠিত হয় ভারতবর্ষে।

কারণ তিনি আজকের মকর সংক্রান্তির দিনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। গীতায় রয়েছে
,

"উওরায়ণের ছয় মাস কেউ দেহ ত্যাগ করলে আর এই জগতে ফিরে আসতে হয় না।"
অতএব, আজকের পৌষ সংক্রান্তি দিনেই ভীষ্মদেব নিজ ইচ্ছায় প্রাণত্যাগ করেছিলেন।

• আমরা গঙ্গা আদি পবিত্র নদীসমূহে স্নান করতে পারি।
• সাধু-ব্রাহ্মণদের দান-দক্ষিণা
করতে পারি।

• যেহেতু তিল সংক্রান্তি তাই তিলের তৈরি পিঠা
তৈরি করে সূর্যদেব এবং ভগবানকে নিবেদন করতে পারি।

• মহিমান্বিত এই দিনে আমরা যেন কোনো প্রকার আমিষ আহার 
না করি।


• আমরা বেশি করে শাস্ত্র অধ্যয়ন এবং হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ
করতে পারি।

তারপর বেশি করে পিঠা খাবেন, অন্যদেরকেও খাওয়াবেন।
মন্তব্যসমূহ