সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ও রামানন্দ রায় সংবাদ

সাম্প্রতিক পোস্টগুলি

মহাপ্রভুর স্বীকৃত 4টি সম্প্রদায় ও অস্বীকৃত 13টি অপসম্প্রদায়

যে আচার ব্যবহার সামান্য পার্থক্য থাকলেও এরা মহাসম্ভোগবাদী। আচার্য শ্রীল বিনোদ ঠাকুর লিখছেন  বাউল বাউল বলছ বটে বাউল হচ্ছে ক'জনা। দাড়ি চূড়া রেখে ভাইরে লোককে করছ বঞ্চনা।। দাড়ি এবং গোফ রেখে এরা ঘুরে বেড়ায়। এরা পরনারী সঙ্গদোষী।পরের নারী নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। নারী পুরুষের অবাধ মিলনে যেন রাধা কৃষ্ণের প্রেম অনুভব হয়। তাই আবারও ভক্তি বিনোদ ঠাকুর মহাশয় বলছেন সহজ ভজন করছ মামু  সঙ্গে লয়ে পরের বালা  সখিভাবে ভজছেন তারে নিজে হয়ে নন্দলালা।। এসবই তাদের লীলা খেলা।শুক্র,শোণিত, মল মুত্রাদি ভক্ষণ এদের সাধন প্রণালি। 🔘৩. কর্তাভজাঃ  এমতের প্রবর্তক অউলে চাঁদ।এরা গুরুকে কর্তা বলে।গুরুকেই ঈশ্বর ভাবে।গুরুই এদের গৌরাঙ্গ। যেমন, অনুকুল ভক্তরা।হরিচাঁদের দল।এরা ঘোর ভক্তি বিরোধী মায়াবাদি।এদের মাঝে উচ্ছিষ্ট ভোজন প্রথা প্রচলিত আছে।এরা গুরু সত্য হরি সত্য বলে কিন্তু কোন সদাচার পালন করেন না। 🔘৪. নেড়াঃ  কথিত আছে এদের দলে বারশত নেড়া তেরো শত নেড়ী ছিল। এরা শ্রীনিত্যানন্দাত্মজ বীরভদ্র প্রভুর অনুগব্রুব।বীরচন্দ্র প্রভুর উদ্দেশ্য ছিল এরা সদাচারী হয়ে হরিভজন করুক।কিন্তু প্রভু বীরচন্দ্রের সে ইচ্ছা উদ্দেশ্য সফল হয়ন...

নীতি উপাখ্যান

যেমনি করে টক তেঁতুলের সংস্পর্শে দুধ দই হয়ে যায়, তেমনিভাবে কারাগারসদৃশ এই জড়জগতে আমাদের চিত্ত কামে রূপান্তরিত হয়ে আমরা কৃষ্ণবিস্মৃতি হয়ে পড়ি। দেখুন, শাস্ত্রে স্পষ্ট বলা আছে যে, জীবের সব চাইতে বড় শত্রু হচ্ছে কাম। এই কামই শুদ্ধ জীবাত্মাকে এই জড় জগতে আবদ্ধ হয়ে থাকতে অনুপ্রাণিত করে। কিন্তু কিভাবে......... দেখুন তাহলে! জীব যখন জড়া প্রকৃতির সংস্পর্শে আসে, তখন তার অন্তরের শাশ্বত কৃষ্ণপ্রেম রজোগুণের প্রভাবে কামে পর্যবসিত হয়। তারপর, কামের অতৃপ্তির ফলে হৃদয়ে ক্রোধের উদয় হয়, ক্রোধ থেকে মোহ এবং এভাবেই মোহাচ্ছন্ন হয়ে পড়ার ফলে জীব জড় জগতের বন্ধনে স্থায়িভাবে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। আর এজন্যই কামকে বড় শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। একটা বিষয় দেখুন, ভগবান হচ্ছেন সৎ-চিৎ-আনন্দময় আর জীব হচ্ছে এই চিন্ময় আনন্দের আংশিক প্রকাশ। তাহলে আমরা প্রত্যেকেই আনন্দ না পেয়ে কেন কষ্ট পাচ্ছি? কেউ কি কখনোও অন্বেষণ করেছেন? দুধ হচ্ছে প্রকৃত আইডেন্টিফিকেশন, কিন্তু সেই দুধে যখন টক আর তেঁতুল মিশ্রণ করা হয় তখন কি আর সেটা দুধ থাকে? অবশ্যই না। তখন সেটা দইয়ে পরিণত হয়ে যায়। ঠিক তেমনি, ভগবান এই জগতে আমাদের পাঠিয়েছেন নিজেদের সংশোধন করার জন্য...

পৌষ সংক্রান্তিতে কি কি হয়েছিল?

আমরা সবাই পৌষ সংক্রান্তি হিসেবে জানলেও একে মকর, উত্তরায়ণ বা তিল সংক্রান্তিও বলা হয়। চলুন, দেখা নেয়া যাক সেই মহিমান্বিত তিথিতে আসলে কি হয়েছিল! আজ কলিযুগ পাবনাবতারী শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর ৫১১ তম সন্ন্যাস লীলা মহোৎসব। অর্থাৎ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ১৫১০ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ২৪ বছর বয়সে এই পৌষ-সংক্রান্তির দিনেই কন্টকনগরে অর্থাৎ কাটোয়ায় গুরু কেশবভারতের কাছ থেকে সন্ন্যাস দীক্ষা প্রাপ্ত হন। বৃন্দাবন দাস তাঁর চৈতন্যভাগবতে লিখেছেন এই সংক্রমণ উওরায়ণ দিবসে। নিশ্চয় চলিব আমি করিতে সন্ন্যাসে।। ...................মধ্যখন্ড, ২৬ অধ্যায় আমরা অনেকেই জানি, এক সৌরবর্ষে আমাদের এই মর্ত্যলোকে এক বছর পূর্ণ হলেও দেবতাদের গণনায় বা স্বর্গলোকে সেটা এক দিন মানে ২৪ ঘন্টা। এখন, ২৪ ঘন্টার মাঝে আবার ১২ ঘন্টা দিন এবং বাকী ১২ ঘন্টা রাত বিদ্যমান। তাই স্বর্গলোকে বা দেবতাদের হিসেবে মকর সংক্রান্তি থেকে পরর্বতী ছ'মাস তাদের দিন এবং কর্কট সংক্রান্তি থেকে পরর্বতী ছ'মাস তাদের রাত। অর্থাৎ আমারা সহজেই বুঝতে পারছি যে, আজকের এই মকর সংক্রান্তি থেকেই স্বর্গলোকে নতুন একটি দিনের সূচনা শুরু হয়। আমরা সব...

তোটা গোপীনাথ

যমেশ্বর শিব মন্দিরের মনোরম উদ্যানে গদাধর পণ্ডিত প্রত্যহ শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ করতেন। যেখানে মহাপ্রভু কখনই অনুপস্থিত থাকতেন না। গদাধরের শ্রীমুখে মহাপ্রভু শতবার ধ্রুব মহারাজের উপাখ্যান শ্রবণ করেছেন। একদিন মহাপ্রভু অপ্রাকৃত কৃষ্ণবিরহ লীলা প্রকাশ করলেন। তিনি কৃষ্ণের খোঁজে ভূমি খনন করতে লাগলেন। একসময় একটি পাথরের মুকুটের অগ্রভাগ দেখা গেল। মহাপ্রভু গদাধরকে বললেন,"গদাই, এখানে এক অমূল্য সম্পদ আছে তুমিকি আমার কাছ থেকে তা নিতে চাও?" গদাধর প্রভু বিস্মিত হলেন। অতপর তারা দুজনে মিলে সেই বিগ্রহকে বালুকা রাশি হতে উত্তোলন করলেন। মহাপ্রভু বিগ্রহের নাম দিলেন গোপীনাথ। আর উদ্যানে বিহারী (উড়িয়া ভাষায় তোটা) বলে তাঁর নাম হলো তোটা গোপীনাথ। অতপর শ্রীমন্মহাপ্রভু শ্রী গদাধর প্রভুর ক্ষেত্রসন্ন্যাসের ব্যবস্থা করে তাকে তোটা গোপীনাথের সেবায় নিযুক্ত করলেন।

শ্রী রাস পূর্ণিমা

আসুন রাসলীলা সম্পর্কে জেনে নিই।  পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার বিভূতি শ্রীমতি রাধারাণী সহিত গোপীকাগণ কে নিয়ে বৃন্দাবনের রাগমন্ডলে মহারাস লীলা করেন। (১) রাস কী ? উঃ ঈশ্বরের সাথে আত্মার মহামিলনই রাস। কার্তিকের এই পূর্ণিমার রাতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দবনের নিধি বনে বসে তার মোহন বাঁশি নিয়ে বাজাঁতে শুরু করলেন। বাঁশির মধুর আওয়াজ শুধু মাত্র বৃন্দাবন নয়, অখিল ব্রহ্মান্ড কে মোহিত করে ফেলছে। শ্রীকৃষ্ণ যে সকল গোপীদের কথা দিয়েছিলেন তাদের অনেকেই এই রাতের অপেক্ষায় আগে থেকেই সুন্দরবস্ত্র এবং সেঁজে প্রস্তুত ছিলেন।এই গোপীদের মধ্যে কেউ ছিল ৫ বছরের বালিকা, কেউবা ছিল ১৮ বছরের যুবতি আবার কেউ ৮০ বছরের বৃদ্ধা।তারা সবাই যে যেখানে ছিল সবকিছু ছেড়ে নিধিবনের দিকে ছুটে চলে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তখন নিধিবনের কুন্জে বসে ছিলেন, অনন্ত কোটি গোপী বৃন্দ ভগবানের চরণের নিজেদের সপে দিয়ে বলল তারা ভগবানের সাথে নৃত্য করতে উত্‍সুক।  ভগবান জিজ্ঞেস বললেন তারা কেন তাদের স্বামীদের ছেড়ে এখানে এসেছে? গোপীবৃন্দ উত্তরে বলল, এসকল স্বামী ক্ষণিকের। এসব স্বামী শুধু মাত্র মায়া দ্বার আবদ্ধ করে। এরা মাটির মূর্তির মত, যতদিন জগতস্বামী তারা পায়...

রাস পূর্ণিমা তুলসি মহারানী ও শালগ্রাম এর বিবাহ তিথি।

শিবপুরাণ অনুসারে পুরাকালে দৈত্যদের রাজা ছিলেন দম্ভ| দম্ভ ছিলেন বিষ্ণুর উপাসক| দীর্ঘদিন পুত্রহীন থাকার পর তিনি স্থির করলেন ভগবান বিষ্ণুর তপস্যা করবেন পুত্রপ্রাপ্তির জন্য| যেমন ভাবা তেমনি কাজ| গুরু শুক্রাচার্যের কাছ থেকে শ্রী কৃষ্ণমন্ত্র নিয়ে পুস্করে গিয়ে ঘোর তপস্যায় রত হলেন| তাঁর তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে শ্রীবিষ্ণু রাজা দম্ভকে পুত্রপ্রাপ্তির বর দান করলেন| ভগবান বিষ্ণুর বরে যথাসময়ে রাজা দম্ভের ঘর আলো করে জন্মাল একটি পুত্র| পুত্রের নাম রাখা হল শঙ্খচুড়| এই শঙ্খচুড় ছিলেন ভগবান বিষ্ণুর অভিন্ন হৃদয় বন্ধু সুদামা যাকে শ্রীরাধা ক্রোধান্বিত হয়ে শাপ দিয়েছিলেন অসুরযোনিতে তার জন্ম হবে| শঙ্খচুড় ছিলেন উচ্চাকাঙ্খী পুরুষ| বয়ঃপ্রাপ্তির সাথে সাথেই অমিত ক্ষমতালাভের জন্য পুস্করিণীর মধ্যে গিয়ে ব্রহ্মার তপস্যায় রত হলেন| তার ঘোরতর তপস্যায় প্রসন্ন হয়ে ব্রহ্মা প্রকট হলেন এবং বর দিতে উদ্যত হলেন| শঙ্খচুড় কৃতাঞ্জলিতে প্রার্থনা করলেন তাকে দেবতাদের বিরুদ্ধে অজেয় হবার বর প্রদান করা হোক| ব্রহ্মা মঞ্জুর করলেন প্রার্থনা আর তাকে নির্দেশ দিলেন বদরীবনে গিয়ে তপস্যারতা তুলসীকে বিবাহ করতে| ব্রহ্মার নির্দেশে শঙ্খচুড় বদরীবনে গিয়ে...